১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ বিবৃতি
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের প্রকাশ্যে গুলি চালানোর নির্দেশ প্রদান করায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)
সম্প্রতি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিন গান (এসএমজি) দিয়ে ব্রাশফায়ার করার’ নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) পুলিশ কমিশনারের এ বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পাশাপাশি, এই ধরনের নির্দেশ সরাসরি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে উৎসাহিত করার শামিল, যা সংবিধান, আইনের শাসন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের পরিপন্থী বলে মনে করে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেন পুলিশ বাহিনীকে। মঙ্গলবার দুপুরে ওয়্যারলেস বার্তায় টহল ও থানা পুলিশকে একযোগে মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সংশ্লিষ্ট সকলকে মনে করিয়ে দিতে চায়, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদে নাগরিকের জীবনের অধিকার এবং আইনের আশ্রয় পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন অপরাধীকেও আইনি প্রক্রিয়া ব্যতীত হত্যা বা গুলি চালানোর নির্দেশ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জোর দিয়ে বলছে, এই ধরনের বক্তব্যের বিষয়ে সরকারকে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সদস্যদের মানবাধিকার ও সংবিধানসম্মত দায়িত্ব পালন সম্পর্কে যথাযথ বার্তা প্রদান করতে হবে। সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা গুলি চালানোর নির্দেশ রাষ্ট্রের নীতি ও আইনি কাঠামোর সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হলো নাগরিকের জীবন ও মর্যাদা রক্ষা করা। চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনারের এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বশীল প্রশাসনিক আচরণের পরিপন্থী এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের মৌলিক নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে। আসক মনে করে, এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যথায় এমন নির্দেশ বা মনোভাব ভবিষ্যতে প্রাণহানি ও বিচারবহির্ভূত ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও আইনের শাসনের জন্য অপ্রত্যাশিত।










Visit Today : 1120
Visit Yesterday : 1009
Total Visit : 1177831
Who's Online : 17